ওয়েব পেজের বিভিন্ন উপাদানের গঠন, আকার, আকৃতি, রং, অবস্থান, গতিশীলতা ইত্যাদি নির্ধারণ করার অন্যতম সহজ পদ্ধতি হল সিএসএস। সিএসএস এর ফলে খুব কম সময়ে কম কোড লিখে পুরো ওয়েব সাইটের স্টাইলিং পরিবর্তন করা যায়।
আপনি কি এইচটিএমএল অথবা এক্সএইচটিএমএল সম্পর্কে জানেন? কারন সিএসএস সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে এইচটিএমএল ৪.০১ বা এইচটিএমএল ৫.০ অথবা এক্সএইচটিএমএল সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে।
আপনি যদি এইচটিএমএল বা এক্সএইচটিএমএল সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে আপনি আমাদের এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল টি দেখুন।
অক্টোবর ১০, ১৯৯৪ সালে Håkon Wium Lie প্রথম সিএসএস তৈরি করার প্রস্তাব করে। একিই সময়ে Håkon Wium, Tim Berners-Lee এর সাথে European Organization for Nuclear Research (CERN), Switzerland এ কাজ করছিলেন।
প্রায় এই রকম স্টাইল সিট প্রনয়ন করার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রস্তাবনা আসছিল, যে গুলো সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে মেইল এর মাধ্যমে এবং World Wide Web Consortium এর অভ্যন্তরে আলোচিত হয়ে আসছিল।
অবশেষে ১৯৯৬ সালে, World Wide Web Consortium কতৃক W3C সমর্থিত CSS1 প্রকাস করা হয়। CSS1 প্রস্তাবনা এবং প্রনয়নের ক্ষেত্রে Bert Bos এর যথেষ্ট কার্যকর ভুমিকা ছিল, তাই Bert Bos কে CSS1 এর co-author বলা হয় এবং তাকে সিএসএস এর co-creator রুপে সম্মানিত করা হয়।
ভার্সন | প্রকাশ সাল | যে সকল সুবিধা যুক্ত হয় |
---|---|---|
সিএসএস ১.০ | ১৯৯৬ | লেখার জন্য বিভিন্ন প্রপার্টি যেমন background, words-spacing, letter-spacing, line-spacing ইত্যাদি |
সিএসএস ২.০ | ১৯৯৮ | পেজ লেআউট এর জন্য positioning, অন্য বিভিন্ন মিডিয়ার জন্য স্টাইল |
সিএসএস ৩.০ | ১৯৯৯ | মডিউল পদ্ধতি, নতুন কিছু প্রপার্টি |
উইকিপিডিয়া থেকে সিএসএস এর বিস্তারিত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে উইকিপিডিয়া - Cascading Style Sheets ওয়েব পেজটি ব্রাউজ করে দেখুন।
W3C থেকে সিএসএস এর বিস্তারিত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে A brief history of CSS until 2016 ওয়েব পেজটি ব্রাউজ করে দেখুন।
সিএসএস কোড গুলো নির্দিষ্ট করে দেয় কোন ওয়েব পেজে কিভাবে এইচটিএমএল এলিমেন্ট গুলো প্রদর্শিত হবে।
সাধারণত স্টাইল কোড গুলো .css এক্সটেনশন যুক্ত কোন একটি বহিঃস্থ বা external ডকুমেন্ট বা file এ সংরক্ষণ বা store করা হয়। তবে এইচটিএমএল ডকুমেন্টেও এইচটিএমএল ট্যাগের সাথেও বা আলাদা ভাবে এইচটিএমএল ডকুমেন্টেও সিএসএস স্টাইল কোড ব্যবহার করা যায়।
মাত্র একটি স্টাইলসীটে খুব সামান্য কিছু সিএসএস স্টাইল কোড পরিবর্তন করেই কোন ওয়েব পেজ বা ওয়েব সাইটে অনেক বড় বড় স্টাইল এর কাজ করা যায়। আবার সিএসএস শর্টহ্যান্ড প্রপার্টি গুলো ব্যবহার করে খুব সংক্ষেপে সিএসএস স্টাইল কোড লিখে ও কম size এর file ব্যবহার করেই সুন্দরভাবে ওয়েব সাইটের ডিজাইন করা যায়।
World Wide Web Concortiuam ( W3C ), এইচটিএমএল তৈরি করেছে একটি মার্ক-আপ ভাষা হিসেবে, অর্থাৎ এইচটিএমএল কেবল কত গুলো নির্ধারিত ট্যাগের সমষ্টি, যেখানে প্রতিটি ট্যাগের নির্ধারিত ভিন্ন ভিন্ন কাজ রয়েছে। অর্থাৎ এখানে এইচটিএমএল ট্যাগ গুলো কেবল ওয়েব পেজের জন্য কন্টেন্ট গুলো প্রদর্শন করতে পারে। >
পৃথিবীব্যাপী ইন্টারনেট এর প্রথম দিকে অর্থাৎ এইচটিএমএল এর প্রথম দিকের সংস্করণ গুলোতে ওয়েব পেজের কন্টেন্ট গুলোও কম ছিল এবং খুব বেসি স্টাইল কোড ব্যবহার করা জেত না। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে অধিক মাত্রায় স্টাইল কোড বাবহারের প্রয়োজন হয়। এইচটিএমএল ৩.২ সংস্করণের আগে অল্প কিছু স্টাইল কোড এইচটিএমএল ডকুমেন্টই ব্যবহার করা হত। এইচটিএমএল ৩.২ এর পরিপূর্ণ রেফারেন্স দেখুন লিংকে ব্রাউজ করে।
কিন্তু এইচটিএমএল ৩.২ সংস্করণে যখন ফন্ট, রঙ বা দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ইত্যাদির মত তথ্য গুলো প্রতি ওয়েব পেজে আলাদা আলাদা করে দেয়ার প্রয়োজন হল, তখন তা খুবই বিরক্তির ব্যাপার হয়ে উঠল, কারন এত এত স্টাইল কোড মনে রাখা এবং কোন বর ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা বেস কষ্টসাধ্য হয়ে উঠল।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে World Wide Web Concortiuam ( W3C ), সিএসএস প্রনয়ন করল।