টিসিপি/আইপির অন্যতম ব্যাবহার হল ই-মেইল (e-mail). একটি মেইল প্রেরন বা গ্রহন করার জন্য কম্পিউটারকে টিসিপি/আইপি প্রোটোকল ব্যাবহার করতে হয়।
যখন আপনি একটি ই-মেইল তৈরি করেন, আপনি ব্যাবহার করেন একটি ই-মেইল প্রোগ্রাম যেমন - মাইক্রোসফট আউটলুক, লোটাস নোটস অথবা নেটসক্যাপ কমিউনিকেটর। আপনার ই-মেইল প্রোগ্রামটি ব্যাবহার করে বিভিন্ন আইপি প্রোটোকল। যেমন -
SMTP প্রোটোকল ব্যাবহৃত হয় ই-মেইল ট্রান্সমিশনের জন্য। SMTP প্রোটোকলের তত্ত্বাবধানেই ই-মেইল একটি কম্পিউটার
থেকে অন্য একটি কম্পিউটারে পাঠানো হয়।
সাধারনত আপনার তৈরি করা ই-মেইলটি প্রথমে একটি ই-মেইল সার্ভার (SMTP server) এ পাঠানো হয়, তারপর
সেখান থেকে অন্য সার্ভারগুলোতে এবং পরিশেষে ই-মেইলটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
SMTP শুধুমাত্র টেক্সট ট্রান্সমিট করতে পারে, কোন বাইনারি ডাটা যেমন – ইমেজ, সাউন্ড বা ভিডিও ট্রান্সমিট করতে পারে না।
MIME প্রোটোকল বাইনারি ডাটাকে টেক্সট এ রূপান্তরিত করে, তাই আইপি নেটওয়ার্ক বাইনারি ডাটা প্রেরণ করার জন্য SMTP,
MIME প্রোটোকল ব্যাবহার করে।
ই-মেইল সার্ভার থেকে ই-মেইল ডাউনলোড করতে বা ই-মেইল পরতে POP প্রোটোকল ব্যাবহার করা হয়। আপনার ই-মেইল প্রোগ্রাম (যেমন – মাইক্রোসফট আউটলুক) ই ই-মেইল পরতে বা ডাউনলোড করতে POP প্রোটোকল ব্যাবহার করে।
ই-মেইল প্রোগ্রামকে ই-মেইল ক্লায়েন্টও বলা হয়। সার্ভার থেকে ই-মেইল ডাউনলোড করতে বা ই-মেইল পরতে ই-মেইল প্রোগ্রামকে প্রতিবার ই-মেইল সার্ভারের সাথে যুক্ত হয়।
ই-মেইল প্রোগ্রামে(যেমন – মাইক্রোসফট আউটলুক) IMAP প্রোটোকলের ব্যাবহার POP প্রোটোকলের মতই।
div class="article">IMAP এবং POP প্রোটোকলের মাঝে মূল পার্থক্য হল IMAP প্রোটোকল কখনো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব মেইল ডাউনলোড করে না, প্রতিবার আপনার ই-মেইল প্রোগ্রামকে ই-মেইল সার্ভারের সাথে যুক্ত হতে হয়।
IMAP প্রোটোকলের সাহায্যেই আপনি ই-মেইল সার্ভার থেকে মেইল ডাউনলোড পূর্বেই আপনার মেইল পরতে বা দেখতে পারেন। IMAP প্রোটোকলের মাধ্যমেই আপনি মেইল সার্ভার থেকে ভিন্ন ভিন্ন মেইল ডাউনলোড করতে পারেন বা সরাসরি মুছে (Delet) করতে পারেন। এ কারনেই আপনি যেকোন স্থান থেকেই মেইল সার্ভারের সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং আপনার ই-মেইল পরতে বা দেখতে পারেন।